ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ আসার পরপরই উত্তাল হতে থাকে রাজধানী। বিভিন্ন স্থান থেকে জুলাই মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে শাহবাগে। সেখানে ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসেও। ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা তখন ‘আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা মিছিল করে শাহবাগে অবস্থান নেয়।
সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার একটি অংশ যায় কারওয়ান বাজারের দিকে, আরেক অংশ যায় ধানমন্ডি-৩২ এর দিকে। এসময় প্রথমে দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারের প্রথম আলোর কার্যালয় ও পরে ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর করে এবং এক পর্যায়ে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এতে ডেইলি স্টার ভবনের ছাদে আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
আরও পড়ুন:
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ভবনের সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দেয়। জানা যায়, ডেইলি স্টারে অগ্নিকাণ্ডের সময় টাকা, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার আরেকটি অংশ ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতেও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে। এসময় ধানমন্ডিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনেও হামলা-ভাঙচুর ও ভবনের বাইরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের বের করে দেন।
তবে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচি জারি রয়েছে, এতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এছাড়া রাতে রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে প্রথম আলোর ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় তিন ফায়ার ফাইটার বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া শাহবাগে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মারধর করেছে বলেও জানা যায়।





