শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আবারও চিঠি দেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন | ছবি: এখন টিভি
0

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে গত পরশু (শুক্রবার) দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেন। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। আর রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামাল ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।

রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়। সেদিন সচিবালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে ফের চিঠি দেয়া হবে।

১৭ নভেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ভারত দণ্ডিতদের ফেরত পাঠাতে আইনগতভাবে বাধ্য কি না—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আইনগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।’ তিনি বলেন, ‘আমার বোঝাপড়া হলো, আদালত রায়ে দণ্ড ঘোষণার পর তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, এবং আমরা ভারতকে সরকারিভাবে তা অবহিত করব।’

ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে অস্বীকার করে, তখন ঢাকা কী করবে?—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, জুলাই হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর শেখ হাসিনা ও কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই প্রত্যর্পণকে ভারতকে করা ‘চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দুই দণ্ডিতকে ভারতে আশ্রয় দেয়া অমিত্রসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচার অস্বীকারের সঙ্গে সমানতালে বিবেচিত।

এএইচ