তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা অপরাধের নিউক্লিয়াস ছিলেন তাই তাকে অপরাধে চরম শাস্তি দেয়া উচিত। যদি একটা হত্যার জন্য একবার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তাহলে ১৪০০ মানুষকে মারার জন্য শেখ হাসিনার ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত। কিন্তু যেহেতু এটা সম্ভব, সুতরাং তাকে যদি একবার চরম দণ্ড না দেয়া হয় তাহলে সেটা অবিচার করা হবে।’
আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে অপরাধের প্রাণভোমরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে সংগঠিত অপরাধগুলো আন্তর্জাতিক আইনে কি অবস্থায় আছে তা আমরা দেখিয়েছি। সবশেষে আমরা তুলে ধরেছি এ তিনজন আসামির মধ্যে প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ছিলেন অপরাধের নিউক্লিয়াস। কারণ তাকে কেন্দ্র করেই অপরাধ সংগঠিত হয়েছিলো। তার একমাত্র টার্গেট ছিলো ২০৪১ সাল পর্যন্ত তার দলের তার পরিবারের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা এবং বাংলাদেশে তার কোনো প্রতিপক্ষ না রাখা। যারা প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাদের নির্মূল করা। জুলাই আগস্টে যখন কোটাবিরোধী আন্দোলন একটা যুক্তিসঙ্গত দাবিতে সংগঠিত হতে শুরু করলো সেটাকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রের সকল রিসোর্স ব্যবহার করা হলো।’
এ সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
যুক্তিতর্ক শেষে, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন প্রসিকিউশন। এ মামলায় আগামী সোমবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন আসামি পক্ষ।





