ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত যেন এখন আপামর জনতার দাবি।
দেশজুড়ে নারীদের উপর সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে সোমবারও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকাল থেকে বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে। এ সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'যে ধর্ষণগুলো হয়েছে আমরা সেগুলোর বিচার চাচ্ছি এবং যেন এগুলো আর কখনো না হয়, কোনো মানুষ যেন হ্যারাজমেন্টের শিকার না হয় তার জন্য আমরা প্রতিবাদ করছি।'
এ সময় দেশের নারীরা রাস্তায় অনিরাপদ উল্লেখ করে দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং দ্রুত ধর্ষণের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানায় তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'সকল বিভাগ চায় এটা যেন দ্রুত বন্ধ হয়। এবং সরকার যে খুব দ্রুত এটার জন্য পদক্ষেপ নেয়।'
দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস -পরীক্ষা বর্জন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে বলেও জানায় তারা।
এরপর একই জায়গায় দুপুরে সারাদেশে অব্যাহত নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে সংগঠনটি।
অন্যদিকে দেশব্যাপী বেড়ে চলা ধর্ষণের প্রতিবাদে নয়া পল্টনে প্রতিবাদী র্যালি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। এ সময় মহিলা দলের র্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে যোগ দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ার কারণ প্রশাসনের দুর্বলতা।
রহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমার কথা হলো সরকারের প্রতি। আপনার পুলিশ বাহিনী আছে, যখন ঘটনা ঘটে, আমরা কী করবো? মরা দেখছি। অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। আরে অপরাধী অপরাধ করার আগেই যদি আপনার আইনের প্রয়োগ ঠিকঠাক মতো হতো, আউনের শাসন প্রয়োগ করা হতো তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না।'
শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। ধর্ষণের বিচারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একীভূত হয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
