সেই রিকশাচালককে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ (শুক্রবার, ৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৪৬ মিনিটে তাকে ডিবি অফিস থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান এ উপদেষ্টা।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দেন নি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন উপদেষ্টা আসিফ।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ৫ আগষ্টের পর এই জনতাই সকল সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। বিপ্লবোত্তর ভঙ্গুর আর অসহযোগিতা পূর্ণ প্রশাসন নিয়ে জনতার সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব ছিলো। গতকাল যারা সরকারকে মিস ইনফরমেশন দিয়েছেন নোট করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর যারা মুখোশ পড়ে নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও সাবধান হয়ে যান। জনতাকে এখন আর ঘোল খাওয়ানো যায় না, তারা সব বোঝে।
আটক ওই ব্যক্তির বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা না। আগে রিকশা চালাতেন। এখন বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোয় পানি সাপ্লাইয়ের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে তার ওপরেও হামলা করে আহত করা হয়। পরবর্তীতে আর্মির সদস্যরা তাকে এরেস্ট করে ডিবিতে সোপর্দ করে। তাকে ছাড়িয়ে এখন ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। জনতাই শক্তি।’
এর আগে জুমার নামাজের পর হিযবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফত’ মিছিল নিয়ে বের হলে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় কয়েকজনকে।
মিছিলটি পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। মিনিট ১৫ নির্বিঘ্নে মিছিল করে নিষিদ্ধ এ সংগঠন। পরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা।
সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় হিজবুত তাহরীরের কর্মীদের ইট পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।