জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের উদ্যোগ

বাংলাদেশি জাহাজকে সহায়তায় ভারতীয় নৌবাহিনী
বাংলাদেশি জাহাজকে সহায়তায় ভারতীয় নৌবাহিনী |
0

দস্যুদের সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় এসআর শিপিং

অনেকটা পরোক্ষ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক জাহাজ অপহরণ করে বছরের পর বছর মুক্তিপণ আদায় করে আসছে হাজার কোটি ডলার। কূটনৈতিকভাবে সমাধানের সুযোগ না থাকায় জলদস্যুতাকে ঘিরে বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানির পাশাপাশি গড়ে উঠেছে মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠান। অপহৃত জাহাজ ও জিম্মি নাবিক উদ্ধারে সারা বিশ্বে ৫০ থেকে ৬০ জন লবিষ্ট ও মধ্যস্থতাকারী আছে। যাদের বেশিরভাগই ইউরোপিয় ও আমেরিকান।

সোমালিয়া জলদস্যুদের দ্বারা অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে জলদুস্যদের সাথে আলোচনার জন্য লবিস্ট ও মিডলম্যানদের সাথে যোগাযোগ করেছে এসআর শিপিং।

এসআর শিপিং লিমিটেড এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, 'বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলে রেখেছি। আমরা আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন দস্যুরা যদি এগিয়ে আসে, আমরা তাদের সাথে আলোচনায় বসে বিষয়টা সমাধান করতে পারবো।'

তবে মুক্তিপণের পরিমাণ কত, তার চেয়ে বড় বিষয় বৈধ বা কোন ব্যাকিং চ্যানেলে জলদস্যুদের সাথে লেনদেনের সুযোগ নেই। তাদের নির্ধারিত কৌশলেই দেনদরবার বা সমঝোতা করতে হয়। অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়াও বেশ জটিল ও গোপনীয়। শিপিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্ষেত্রে মুক্তিপণের অর্থ পাঠাতে বিশেষ হেলিকপ্টার ভাড়া করতে হয়। শুধু তাই নয় টাকাসহ কাউনন্টিং মেশিন নির্দিষ্ট জাহাজে ফেলে দিয়ে আসতে হয়।

আগের বারের তুলনায় এই জাহাজটির বিষয়ে দ্রুত সমাধানে আসা যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান

এখন জলদস্যুদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সাড়ার অপেক্ষায় এস আর শিপিং। তবে জলদস্যুরা কত টাকা বা কি চায় সেটি তাদের সাথে যোগাযোগ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলে দাবি এসআর শিপিংয়ের। তবে অপহৃত জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এর আগে ২০১০ সালে জাহান মণি উদ্ধারে ৫০ কোটি টাকার বেশি মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল এসআর শিপিংকে।

এসএসএস