দেশে এখন , কাঁচাবাজার
বাজার
0

৪০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করায় পেঁয়াজের দাম কমছে না

ভারত এখনও ৪০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করায় দেশের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম। তবে কিছুটা কম দামে মিলছে পাকিস্তানি ও চায়না পেঁয়াজ। গেল এক সপ্তাহ ধরে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢুকেছে চায়না ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ।

খাতুনগঞ্জের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আধিপত্য সবসময়ই। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মানুষ এই পেঁয়াজটি পছন্দ করে। তবে গেল একবছর ধরেই ভারতীয় পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। মূলত গত বছর আগস্টে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করে। এরপর থেকেই আমদানিতেই এই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।

দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই বিকল্প খুঁজছিলেন। কিছু ব্যবসায়ী সেসময় পাকিস্তান, চায়না থেকেও পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেন। অবশেষে সেসব পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে। চাহিদাও বেশ ভালো।

খাতুনগঞ্জ মোহাম্মদীয়া ট্রেডার্সের ম্যানেজার মো. ফোরকান বলেন, 'দামে কম পাওয়ায় এখন পাকিস্তানি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি। আর ভারতীয়টার দাম বেশি। তাই একটু চাহিদা কমেছে।'

দাম কমেছে আদারও। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বেড়েছে পণ্য সরবরাহ। প্রতিদিনই নতুন পণ্য ঢুকছে বাজারে। সরবরাহ বাড়ায় পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। খাতুনগঞ্জে আদার দাম বর্তমানে ২১০ থেকে ২২০ টাকা।

স্থিতিশীল আছে রসুনের বাজার। পর্যাপ্ত আমদানি আছে। তবে বেচাবিক্রি কিছুটা কম। ফলে দামে বড় কোনো হেরফের হয়নি। গেল এক সপ্তাহ ধরেই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

মেসার্স বারো আউলিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো: জয়নাল আবেদীন জসিম বলেন, 'চট্টগ্রামে বেশিরভাগ মানুষ চায়না রসুন খায়। এটা গত ২ সপ্তাহ ধরে একই দামে আছে। দাম বাড়ে নাই।'

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাসের অর্ধেকটা চলে যাওয়ায় বেচা বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না বলে দাবি খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের। আর কিছুদিন পর থেকে পুরোদমে বেচা বিক্রি শুরু হবে বলে আশা তাদের।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর