আগামীকাল থেকে শুরু হবে সংযমের মাস। কিন্তু হঠাৎই যেন অসংযমী বাজার। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে রোজার নিত্যপণ্যের দাম। রাতারাতি কারওয়ান বাজারে শসা, বেগুন ও গাজরের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তাতে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেক খুচরা ব্যবসায়ী।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বেগুনের পাল্লা সাড়ে ৩শ' টাকা করে মানে ৭০ টাকা কেজি। আমার বিক্রি করতে হবে ৮০ টাকা কেজি করে। শসার পাল্লা হচ্ছে ৪শ' টাকা তাহলে নিশ্চয়ই ৯০ টাকা করে বিক্রি করতে হবে।'
বরিশাল থেকে আসা শংকর জাতের শসার দাম বলা হচ্ছে পাইকারিতে ৮০ টাকা কেজি। দামের এমন অস্বাভাবিক হেরফেরে রাতে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আড়ৎ ঘুরে দেখা গেল মনগড়া দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধির কোন সদুত্তর মেলেনি তাদের কাছে। নেই পণ্য কেনার রশিদও। স্থানীয় ব্যবসায়ীর ফোনকলে মিললো ভয়ংকর তথ্য। দেয় মোবাইলে মোবাইলে দাম বাড়ানোর স্বীকারোক্তি।
অভিযানে আসা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীরাই করছে কারসাজি। রমজানে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে নিয়মিত তদারকির আশা তাদের।
তিনি আরও বলেন, 'যে ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করেছেন এদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো নেই। তারা রাস্তার উপর কিছু জায়গা নিয়ে ব্যবসা করছেন। তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারছেন না।'
রমজান উপলক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনে এবং রাতে মনিটরিং করবে বলেও জানান তিনি।
তবে, এই অভিযানে দামের প্রভাব খুব একটা পড়েনি বাজারে। যদিও ভোক্তা অধিকার বলছে, আপাতত বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা। পরে, এর ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।