টিপস
জীবনযাপন
0

হাঁটুর ব্যথা কমাতে কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

হাঁটুর ব্যথা দেখা দিলেই গাদা গাদা ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই দ্রুত মুক্তি মিলবে এই ব্যথা থেকে। কী পদ্ধতিতে মুক্তি পেতে পারেন হাটু ব্যথা থেকে?

বয়স বাড়লে কিংবা ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ বয়সের সাথে সাথে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে। আর হাঁটু মানুষের শরীরের পুরো ওজন বহন করে আমাদের দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটুকেও তার ধকল সইতে হয়। ওজন এবং বয়স বেড়ে যাওয়া ছাড়াও আঘাত, ঋতুবদল বা অন্য কোনো কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবনযাপনের কারণে এই সমস্যা বেড়েছে।

নারী-পুরুষ সবারই হাঁটু ব্যথা হতে পারে। তবে পুরুষদের চাইতে নারীরা হাঁটু ব্যথায় ভোগেন বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, ৫৫ বছরের উপরে নারীরা অনেক বেশি ভোগেন এই ব্যথায়। এসময় মাসিক পরবর্তী এস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবে হাড় ক্ষয় বেড়ে যায়। হাঁটু ব্যথা কমাতে যা করবেন-

১. হাঁটু ব্যথা বেশি হলে ২-৩ দিনের জন্য কাজ থেকে বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু বিছানায় সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেয়া ঠিক নয়। এর ফলে ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। বরং ভারী কাজ, দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকা কিংবা বসে থাকা থেকে বিরতি নিতে পারেন।

২. যেসব কারণে ব্যথা বাড়ে যেমন, সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামা করা, লো কমোডে বসা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

৩. ব্যথা কমানোর জন্য ২০ মিনিট গরম স্যাঁক বা ৫ থেকে ১৫ মিনিট আইস ব্যাগ রাখতে পারেন। তবে কোন ধরনের ব্যথায় কোন চিকিৎসা নিতে হবে তা অবশ্যই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনু্যায়ী নিতে হবে।

৪. এছাড়া রোগীর অবস্থা অনুসারে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের এক্সারসাইজ যেমন- হাঁটাহাঁটি, জগিং, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারলে হাঁটুর ব্যাথায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের ব্যথামুক্ত সুস্থ দেহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

৫. যদি হাড় ক্ষয়জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া কিছু খাবার আছে যা ব্যথা প্রশমনে সহযোগিতা করে।

৬. আদার নির্যাস কিংবা সরাসরি আদা খাওয়া হাঁটুর জন্য উপকারী। আদার ‘জিনজেরোল’ নামক উপাদান প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক। তাই প্রতিদিন দুকাপ আদা চা পান করলেও উপকার মিলবে।

৭. ঔষধি গুণের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত হলুদ। এতে থাকা ‘কারকিউমিন’ আরেকটি শক্তিশালী প্রদাহনাশক উপাদান, যা হাড়ের জোড়ার ব্যথা সারাতে অত্যন্ত কার্যকর।

৮. কাঠবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদামের বিভিন্ন ধরনের বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর ওমেগা ৩। খাদ্য তালিকায় রাখুন চিয়া বীজ, আখরোট এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ। এতে হাঁটুর ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া খাদ্য তালিকায় যেন ভিটামিন সি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে থাকে। সামুদ্রিক মাছ, টুনা মাছ, সয়াবিনেও প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

তবে হাঁটুর ব্যথা খুব বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!