টিপস , ফিচার স্টোরি
জীবনযাপন
0

মিলিয়নিয়ার হতে চাইলে যেসব কৌশল অনুসরণ করবেন

আজকে যারা মিলিয়নিয়ার বা বিলিয়নিয়ার হয়েছেন, তারা যে শুরু থেকেই এমন ছিলেন, তা কিন্তু নয়। কথায় আছে, ‘বিন্দু থেকে হয় সিন্ধু'। মূলধন কিংবা অর্থের পরিপূর্ণ ব্যবহার ধীরে ধীরে তাদের আয়ের পথকে প্রশস্ত করেছে। বিশেষ করে অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনিও হতে পারেন মিলিয়নিয়ার। এবার জেনে নেব, কী সেসব কৌশল-

১. ঋণ এড়িয়ে চলা

মিলিয়নিয়াররা ঋণ ও সুদের বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলেন। কারণ ঋণ গ্রহণ করলেই আপনাকে এর পরিবর্তে সুদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাড়তি অর্থ খরচ করতেই হয়। তাই মিলিয়নিয়াররা এসব বিষয়গুলোকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলেন, এর পরিবর্তে সামান্য কিছু অর্থ হলেও সঞ্চয় করার চেষ্টা করেন।  

২. ভাড়া কিংবা ইজারা নেয়ার চেয়ে গাড়ির মালিকানা গ্রহণ

মিলিয়নিয়াররা গাড়ি ভাড়া কিংবা ইজারা নেয়ার চাইতে গাড়ির মালিক হওয়ার বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেন। ভেবে দেখুন, আপনার যদি একটি নিজস্ব গাড়ি থাকে, তাহলে মাসে যাতায়াত খরচ অনেক কমে যাবে। কারণ চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়াবাবদ অনেক খরচ হয়ে যায়। তাছাড়া নিজের গাড়ি না থাকলে প্রতিদিন যাতায়াতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

৩. জরুরি ফান্ড

আর্থিক নিরাপত্তা ব্যক্তি কিংবা পেশাগত জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো কারণে জরুরি অর্থের প্রয়োজন হতেই পারে। মিলিয়নিয়াররা এক্ষেত্রে সঞ্চয় ও জরুরি ফান্ডের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সহজে সামাল দেয়া যায়।

৪. বিনিয়োগের স্বচ্ছ পরিকল্পনা

আপনার কাছে যতটুকু সঞ্চয় আছে, তা বিনিয়োগের ব্যাপারে কৌশলী হোন। মিলিয়নিয়াররা তাদের অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে থাকেন। এক্ষেত্রে বিখ্যাত কেএফসির স্বত্বাধিকারী হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্সের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে ৮৭ ডলার দিয়ে একটি কড়াই ও চিকেন তৈরির উপকরণ কেনেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। কারণ সেসময় আমেরিকার কেন্টাকিতে মুচমুচে ভাজা চিকেনের অনেক জনপ্রিয়তা ছিল। ধীরে ধীরে ১৯৮০ সালে তার এ বিনিয়োগ থেকে আয় দাঁড়ায় মিলিয়ন ডলারে। কেএফসির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ডলার।

৫. কর্মীদের সুবিধা

মিলিয়নিয়াররা তার অধীনে থাকা কর্মীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেন। কর্মীদের অবসরভাতা, স্বাস্থ্যভাতা, প্রণোদনা- এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সচেতন থাকেন। কারণ কোনো কর্মী যদি তার কোম্পানির মালিকের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে এটা ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বড় একটা ব্র্যান্ডিং।

৬. বৈচিত্র্যময় আয়ের উৎস

মিলিয়নিয়াররা তাদের আয়ের উৎসটাকে ভাগ করে নেন। অর্থাৎ তারা শুধু একদিকের আয়ের ওপর নির্ভরশীল থাকেন না। অন্যান্য বিনিয়োগ বা সম্পদ ভাড়া দেয়ার মাধ্যমেও আয় করে থাকেন।

৭. আর্থিক উপদেশ অনুসরণ

নিজের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী আর্থিক পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে মিলিয়নিয়াররা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কারণ, একজন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞই সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।  

 ৮. আভিজাত্য ও বিলাসিতা এড়িয়ে চলা

সফল মিলিয়নিয়াররা বিলাসিতা এড়িয়ে চলেন। তাদের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আভিজাত্য প্রদর্শনের চেয়ে শৃঙ্খল জীবনযাপনকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া