মুখরোচক খাবারের জন্য পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা।হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ভোজনরসিকদের আনাগোনা অহর্নিশ।
সাধারণ খাবারের আয়োজন ছাপিয়ে শত রকমের ভর্তার আকর্ষণেই আসেন তারা। দোকানগুলোতে বেলা ১১টা থেকে মধ্যরাত অবধি চলে জমজমাট বেচাকেনা।
বিক্রেতারা জানান, বাদাম, সরিষা, কালোজিরার মত গতানুগতিক পদের সঙ্গে যোগ হয়েছে ইলিশসহ নানা প্রকার মাছ; এমনকি মুরগির মাংসের ভর্তাও। প্রকারভেদে এসব ভর্তার দাম ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে একবারে কেনার সামর্থ্য না থাকলেও অনেক প্রকার খাবার এখানে পাওয়া যায় সাশ্রয়ী মূল্যে। তাই স্বাদের সঙ্গে সাধ্যের সমন্বয়ের জন্যও বটতলার হোটেলই ভরসা।
এক সময় বটতলায় চা-নাস্তার জন্য দুই-তিনটি দোকান থাকলেও বর্তমানে প্রায় অর্ধশত খাবার হোটেল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের পাশাপাশি খাবারের জন্য শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই বটতলার খাবার হোটেল ।
শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে খাবার খেতে হলে মোটামুটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা হলেই খাবার পাওয়া যায়। একই খাবার বাইরে খেতে হলে দ্বিগুণ টাকা খরচ হয়। ভর্তাপ্রেমীদের জন্য এটা বিশাল সুযোগ, কারণ বাইরে এতো রকমের ভর্তা একসঙ্গে পাওয়া যায় না।
শুধু ভর্তাই নয়, পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েক রকমের মাছ-মাংস। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়াও ভর্তা খেতে ভিড় জমান সাবেক শিক্ষার্থী ও ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরাও।
বটতলার এসব দোকানের খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে তদারকি করার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এছাড়া 'কনজ্যুমার ইয়্যুথ' নামে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন খাবারের মান, পরিবেশ ও মূল্য নির্ধারণে নিয়মিত কাজ করে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. মহসীন জানান, নির্দিষ্ট মূল্যতালিকা দেয়া হয় ও নিয়মিত সেটা দেখা হয়; যেন কোন দোকানি অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে। শিক্ষার্থীরা যেন ভালো খাবার খেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সবসময় সচেতন থাকে।
মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পেরে তুলনামূলক কম লাভ করেও খুশি দোকানিরা।