ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা ইস্যুতে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার নিশানা মিত্রদেশ ভারত।
শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতকে ৫ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দেশটিকে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বাড়াতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পরপরই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি। রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়ন অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি নেতিবাচকভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে শিগগিরই সত্যটা বেরিয়ে আসবে এবং ভারতের জনগণ জানতে পারবেন কে বা কারা এর পেছনে ছিলেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ইউএসএআইডি এর সঙ্গে ট্রাম্প কী চুক্তি করেছেন তা জানা নেই। তবে ইউএসএআইডি ভারতে যে অর্থ দিয়েছিলো তা নিশ্চয়ই ইতিবাচক অর্থেই পাঠিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে এখন যেভাবে ব্যাখ্যা করছে তা এখন পুরোপুরি ঘুরে গেছে।’
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের কথা ঘুরে ফিরেই উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তুলে ধরেন মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথাও।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধনকুবের ও টেসলার নির্বাহী প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে এক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য বরাদ্দকৃত ইউএসএআইডির সহায়তা প্রোগ্রাম বাতিলের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত এরই আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের এই সহায়তা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।