'অস্ত্রবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির এটাই সময়। এটাই সময়। অস্ত্রবিরতি কার্যকরে এবং বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট এবং আমি প্রতিটা দিন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছি। তাই আপনাদের দাবির প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল'। স্পষ্টভাবে এমনটাই বললেন কামালা।
ভোটের আগে নেতারা কতো ডিগ্রি উল্টে যেতে পারেন, সেটাই যেন চাক্ষুষ দেখালেন মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনে মদদদাতা মার্কিন প্রশাসনের অংশ হয়েও নির্বাচনী প্রচারণায় আশ্বাস দেন গাজায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরের।
বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রতাপশালী যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে গরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। মার্কিনীদের মিত্র ও শত্রু দেশগুলোতে যতো প্রশ্ন, তার মধ্যে অন্যতম- কামালা হ্যারিসের জয় মধ্যপ্রাচ্যে কী প্রভাব ফেলবে। ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে যেমন ট্রাম্প-আমলের কিছু নীতি অব্যাহত থাকবে, অন্যদিকে ইসরাইলের প্রতি কিছুটা কঠোর হতে পারে নতুন ডেমোক্র্যাট প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধের নয় মাসে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি খানিকটা বেশিই সহানুভূতি প্রকাশ করতে দেখা গেছে জ্যামাইকান-ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালাকে। এ বিষয়ে অনেকে বলছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি কামালার মৌখিক সমর্থন মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণের প্রতিফলন; এর সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের কোনো সর্ম্পক নেই। তাই নির্বাচনে জিতে কামালা হোয়াইট হাউজে এলেও ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শত বছরের সমর্থনের ঐতিহ্যে বদল আসবে না।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈরিতা বাড়তে থাকার মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নিতে চাপ বাড়ানো হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর। আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব সতর্কতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য ধরে রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি শিক্ষা হতে পারে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালার জন্য। বন্ধুদের পাশাপাশি শত্রু দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানো উচিত নতুন প্রশাসনের।