গেলো জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে জনমত জরিপে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে সামনে এগোতে শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা। ফ্রান্সভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার গবেষণা ও জনমত বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ইপসোসের জরিপে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) উঠে আসে, পাঁচ শতাংশের ব্যবধানে কামালা হ্যারিসের চেয়ে পিছিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এমন পরিস্থিতিতেই বিতর্ক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বদলান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প। ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে নির্ধারিত হয়েছিল দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রথম বিতর্কের তারিখ। তিন সপ্তাহ আগে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাইডেন সরে গিয়ে কামালার আগমনে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বিতর্ক।
অবশেষে বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার পাম বিচে এক সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কে অংশ নেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানান ট্রাম্প। তবে, এখানেই শেষ নয়, নিজের পছন্দের চ্যানেলেসহ অন্তত আরও দু'টি মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্ক চান বলেও জানান তিনি। বলেন, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যতবার প্রয়োজন বিতর্কে অংশ নিতে রাজি আছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি মনে করি বিতর্ক খুবই জরুরি। ৪ সেপ্টেম্বর ফক্সে একটি বিতর্কে রাজি হয়েছি আমি। এনবিসিতেও আরেকটি বিতর্কে রাজি হয়েছি। এনবিসিতে ১০ সেপ্টেম্বর এবং এবিসিতে ২৫ সেপ্টেম্বর বিতর্কের কথা ছিল।'
ফক্স ও এনবিসি'র তারিখ এখনও অনিশ্চিত বলে আপাতত দৃষ্টিতে দুই নেতার প্রথম বিতর্ক হচ্ছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ওই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচারের কথা জানিয়েছে এবিসি। এবিসি'র পাশাপাশি ট্রাম্পের সঙ্গে আরও বিতর্কে অংশ নিতে রাজি আছেন কামালা হ্যারিসও।
তিনি বলেন, '১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছেন শুনে আমি আনন্দিত। অপেক্ষা করছি, আশা করি তিনি দেখা দেবেন।'
এদিকে, ৪ সেপ্টেম্বর ফক্স নিউজে পূর্ব নির্ধারিত বিতর্কের সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছে ডেমোক্রেটিক প্রচারণা শিবির। কারণ হিসেবে বলা হয়, বিতর্কের আয়োজক নেটওয়ার্ক বা চ্যানেলে দুই দলেরই পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কথা। আরও বলা হয়, ট্রাম্প-কামালার পরবর্তী বিতর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এবিসিতে ১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের ওপর।