উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা নিয়ে সিক্রেট সার্ভিস প্রধানের পদত্যাগ

১০ দিনেও সামনে আসেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার রহস্য। সব মিলিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে আছে নিরাপত্তা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। সোমবার (২২ জুলাই) মার্কিন কংগ্রেসে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে রিপাবলিকানদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান কিম্বার্লি চিটেল।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। এতো দিনেও শুধু হামলাকারীর নাম-পরিচয় জানা ছাড়া, বেশি দূর এগুতে পারেননি তদন্তকারীরা। এখনও অজানা আছে হামলার প্রকৃত রহস্য।

১৩ জুলাইয়ের ঘটনায় পেছনে নিরাপত্তার ব্যর্থতাকে দোষারোপ করছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এতে করে ব্যাপক চাপে পড়ে সিক্রেট সার্ভিস। কারণ ট্রাম্পের সুরক্ষা নিশ্চিতের পুরো দায়িত্ব সিক্রেট সার্ভিসের ওপর। এ অবস্থায় নিরাপত্তা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসকে নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।

এফবিআই দাবি করে বলছে, ‘এটি বেশ আশ্চর্যজনক যে, একজন বন্দুকধারী মঞ্চে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে গুলি করলো, অথচ সিক্রেট সার্ভিসের কেউই ঘটনা ঘটার আগে তাকে পরাস্থ করতে পরেনি। এমন মন্তব্যে আরও বেশ বেকায়দায় পড়লো সিক্রেট সার্ভিস।’

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হলো সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান কিম্বার্লি চিটেলকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ার দায় স্বাীকার করেছেন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান। পরে রিপাবলিকানদের তোপের মুখে পরেন তিনি। পরে রিপাবলিকানদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছে রিপাবলিকান পার্টি। ১৩ জুলাই পেনসেলভেনিয়ার জনসভায় ট্রাম্পের উপর হমলার উদ্দেশ্য এখনও উদঘাটন না হওয়ায়, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আরও সহিংসতা উসকে দিতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।

উগ্রপন্থিরা নির্বাচনের আগে বা পরে সহিংস তৎপরতা চালাতে পারে বলে শঙ্কায় আছে ৮০ শতাংশের বেশি মার্কিন ভোটার। ট্রাম্পের ওপর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিতে নতুন কালো অধ্যায় রচিত হওয়ার পর, রয়টার্সের একটি অনলাইন জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।