ডাচ পোস্ট ইমপ্রেশনিস্ট চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যানগগের বিখ্যাত তৈল চিত্র দ্য স্ট্যারি নাইট। ১৮৮৯ সালের জুনে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তাঁরা ভর্তি আকাশের ল্যান্ডস্কেপ ছবিটি আকেঁন তিনি। বিমূর্ত ছবিটি ১৯৪১ সাল থেকে রয়েছে নিউইয়র্কের দ্য মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে। দশর্ক জনপ্রিয়তা পাবার পাশাপাশি পপ কালচারের অংশও হয়েছে ছবিটি।
ইউরোপের দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দা হালিম জুকিচ। ভ্যানগগের ভক্ত হিসেবে তৈরি করেছেন জলজ্যান্ত স্ট্যারি নাইট। ২০ বছর আগে পাহাড়ি অঞ্চলে ২ হেক্টর জমি কিনেন জুকিচ। একসময় তা বর্ধিত করেন ৭০ হেক্টর পর্যন্ত। বিশাল এই পাহাড়ি জমিতে তৈরি করা হয়েছে স্ট্যারি নাইট থিমের ন্যাচারাল পার্ক। যেখানে ৯৫ শতাংশ উদ্ভিদই সুগন্ধি ও ল্যাভেন্ডার।
স্ট্যারি নাইট ন্যাচারাল পার্কের স্বত্বাধিকারী হালিম জুকিচ বলেন, ‘থিম পার্কটির জন্য সুগন্ধি ও ভেষজ গাছ লাগানো হয়েছে। ব্যবহৃত উদ্ভিদের ৯৫ শতাংশই ল্যাভেন্ডার। আমার কাছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ল্যাভেন্ডারের ঝোপ রয়েছে এবং প্রায় ১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে শিল্পকর্মটির অবস্থান। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিল্পকর্ম এটি।’
পাহাড়ি জমিকে শিল্পকর্মে রূপ দেয়ার কাজটি ৬ বছর আগে শুরু করেন জুকিচ। জানান, ট্রাক্টরের সর্পিল আকৃতির চাকা দেখে স্ট্যারি নাইটের মতো শিল্পকর্ম তৈরির আগ্রহ জাগে তার মনে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে পার্কটি। যাতে গাছের পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে ১৩টি হৃদ।
হালিম জুকিচ বলেন, ‘শিল্পকর্মটি শুধু আমার জীবনের ২০টি বছরই তুলে ধরছে না। সঙ্গে ২০ বছরের স্বপ্ন ও ২০ বছরের অধ্যাবসায়ের প্রতিফলন করছে। ধারণাকে কীভাবে বাস্তবে রূপান্তর করতে হয়, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এটি।’
মধ্য বসনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে পার্কটি কাজ করবে বলে আশাবাদী হালিম জুকিচ।