গেল এক দশকে রাশিয়ায় বিরোধী নেতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান অ্যালেক্সি নাভালনি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকেই তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা। উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থায়নের অভিযোগে ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে দেওয়া হয় ১৯ বছরের কারাদণ্ড। জেলে থাকা অবস্থায় সাইবেরিয়ার আইকে-থ্রি কারাগারে গেল ফেব্রুয়ারিতে সাডেন ডেথ সিন্ড্রোমে মারা যান তিনি।
নাভালনির মৃত্যুর পর থেকেই সন্দেহের আঙ্গুল ওঠে রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর। তবে বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এবার ক্রেমলিনের দাবির সঙ্গে সুর মেলালো মার্কিন গোয়েন্দারা। দেশটির কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার মতে, নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয় সিআইএ, ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টিলিজেন্স ইউনিট নাভালনির মৃত্যুর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে। রাশিয়া থেকে সরবরাহকৃত তথ্যের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় গোপন গোয়েন্দা তথ্য। নাভালনির মৃত্যুর একমাসের মধ্যেই ছিলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে পুতিন হত্যার সিদ্ধান্ত নিবেন না বলে একমত মার্কিন গোয়েন্দারা।
তবে রাশিয়াজুড়ে পুতিনের শক্ত প্রভাব থাকায় নাভালনির মৃত্যুতে প্রেসিডেন্টের সম্পৃক্ততা থাকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ইউরোপের কিছু গোয়েন্দা। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, 'আমি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি দেখেছি। এটি আমাদের কাছে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন মনে হয়নি, যেটা বিশেষ মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।'
গেল মাসে অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন পুতিন। জানান, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে নাভালনিকে পশ্চিমাদের হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছিলেন তিনি। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন নাভালনির ঘনিষ্ঠ মিত্র মারিয়া পেভচিক।