ভোটের আগে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি। শুক্রবার থেকে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারীদের আলাদা বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি সেই উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কয়েকগুণ।
বিশেষ করে কিস্তওয়ার জেলায় দুই সেনা সদস্যের মৃত্যুর পর অভিযানের তীব্রতা বাড়ায় ভারতীয় সেনারা। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ২টি আলাদা অভিযানে নামে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বারামুল্লায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেখানে বন্দুক যুদ্ধে ৩ অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয়। বিশেষ এই এলাকাটিতে আরও বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী আত্মগোপন করে আছেন এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান এখনও অব্যাহত রেখেছে সেনারা।
এর আগে, শুক্রবার কাথুয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাইজিং স্টার কর্পস ইউনিটের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন আরও দুই অস্ত্রধারী। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এক্সবার্তায় উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ছবি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশেষ ঐ ইউনিট।
একই দিনে, কিস্তওয়ার জেলায় বন্দুক যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই জুনিয়র কমিশনড অফিসার নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ২ জন। কিস্তওয়ার থেকে অনন্তনাগ জেলার সংযোগস্থলে একটি অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে বন্দুকধারীদের হামলার কবলে পড়েন সেনা সদস্যরা।
এদিকে, গেল সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এরই অংশ হিসেবে শনিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ডোডায় একটি প্রচারণা সভায় অংশ নেন তিনি। দীর্ঘ ৪২ বছর পর এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরে সফরে গেলেন।
আর ঠিক আগের দিন পরপর হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিলো অস্ত্রধারীরা। ফলে, এই হামলা বিজেপি'র জন্য নতুন কোনো অশনি সংকেতে কী না সেদিকেই এখন নজর গোটা ভারতের।