আরজি কর কাণ্ডে এক মাস পেরিয়ে গেলেও থামেনি আন্দোলন উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ড মামলায় ২২ অগাস্টের পর আজ দ্বিতীয়বারের মতো শুনানি বসে সুপ্রিম কোর্টে। শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সিবিআই। সঠিক ভাবে ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন তুললে, সিবিআই জানায়, ময়নাতদন্তের সময় উল্লেখ না থাকায় ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে তাদের মনে সংশয় রয়েছে।
চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের দিন থেকে রাত পর্যন্ত হাসপাতালের সব সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং পাওয়ার কথা জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এতে আরও সংশয় প্রকাশ করে সিবিআইয়ের তরফ থেকে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম ৫ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারা সেখানে ৫দিন পরে যাওয়ার নির্দেশনা পাওয়ায় ততক্ষণে অনেক কিছু পাল্টে গেছে। এরপরই হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির দূরত্ব কত? আদালতের এমন প্রশ্নে, ১৫ থেকে ২০ মিনিটের কথা জানায় সিবিআই।
এ অবস্থায় এখনও অনেক রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নতুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সিবিআইকে নিদের্শও দেয়া হয়। এর আগে গত ২২ আগস্ট হওয়া শুনানিতে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে তুলোধুনো করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে সোমবারের শুনানি ঘিরে ১৪ আগস্টের পর আরও রোববার আরও একবার 'রাত দখল' কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের মানুষ। রাত শেষে সোমবারও চলে ভোর দখল কর্মসূচি। এতে, স্লোগান, গান, রং তুলির আঁচড় আর মোমবাতির আলোয় উঠে আসে, নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জোরালো দাবি। দ্রুত ন্যায় বিচার পেতেই রাজপথে জনতা গর্জে ওঠে।
এছাড়া এদিন জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত ভারতীয়রাও। বিচারের দাবিতে গানে গানে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন তাঁরা।