এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ক্রুদের বুদ্ধিমত্তা বাঁচিয়েছে বিমানের প্রায় ৪শ' যাত্রীর প্রাণ

বিমানে আগুন লাগার পরও ক্রুদের দক্ষতার কারণেই ৩৭৯ জন আরোহীর সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে জাপান এয়ারলাইন্স।

জাপানের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিটে হানেদা বিমানবন্দরে জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। সে সময় কোস্টগার্ডের বিমানটিতে থাকা পাইলটসহ ৬ জনের মধ্যে ৫ ক্রু সদস্যের মৃত্যু হলেও গোটা বিশ্বকে অবাক করে প্রাণে বেঁচে ফেরেন জাপান এয়ারলাইন্সের জেএএল- ফাইভ হান্ড্রেড সিক্সটিন ফ্লাইটের ৩৭৯ আরোহী।

অলৌকিক সে ঘটনার পেছনে নায়কের ভূমিকায় যাত্রীবাহী বিমানটির কেবিন ক্রু সদস্যরা ছিলেন বলে জানিয়েছে জাপান এয়ারলাইন্স। অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেও তাদের বুদ্ধিমত্তাই প্রায় ৪০০ যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছে বলেও জানান তারা।

ভয়ানক মুহূর্তে নিজেদের মাথা ঠান্ডা রেখে যাত্রীদের মনে সাহস যুগিয়েছেন তারা। এরপর ককপিটের অনুমতি নিয়ে বিমানে থাকা জরুরি বহির্গমন পথ খুলে দেয়া হয়। ১৮ মিনিটের মধ্যে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন সবাই।

এমন খবরে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন দুর্ঘটনার কবলে পরা যাত্রীবাহী ঐ ফ্লাইটের কেবিন ক্রু সদস্যরা।

এভিয়েশন বিশ্লেষকরা বলছেন, আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রু'রা যে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তা প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তা করে দেখিয়েছেন। ভবিষ্যতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে এবং যাত্রীদের সফলভাবে উদ্ধারে ক্রুদের এমন দক্ষতা নজির হয়ে থাকবে বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে এ দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত হানেদা বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুযারি) অব্যাহত রয়েছে ফ্লাইট বিপর্যয়। এতে করে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার যাত্রী।

যাত্রীরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে থাকা একটি ফ্লাইট বাতিল হয়। তারপর আজ সকাল সাড়ে ৮টার আরেকটি ফ্লাইটের কথা ছিল। সেটিও বাতিল করা হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনা বড় প্রভাব ফেলছে। এটার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না।

এরমধ্যে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে জাপান কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জাপান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিকে অবতরণের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তখনও কোস্টগার্ডের ছোট্ট প্লেনটিকে উড্ডয়নের অনুমতি দেয়া হয়নি।

এর বাইরে দুর্ঘটনার অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা জানতে তদন্ত চলমান।

দুর্ঘটনায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে জাপান এয়ারলাইন্সের আর্থিক ক্ষতি ১০০ মিলিয়ন ডলারের ওপরে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসএস

আরও পড়ুন: