এশিয়া
বিদেশে এখন
0

দিঘার সমুদ্রে ভাসছে জেলি ফিশ, সতর্ক থাকার আহ্বান

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুবই জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের দিঘা সমুদ্রসৈকত। শীতের মিষ্টি রোদে সৈকতে পরিজন, প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে চান না এমন বাঙালি পাওয়া মুশকিল। তবে দিঘায় ভ্রমণ উপভোগের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন। কারণ এই সৈকতে ঢেউয়ে ভেসে আসছে ইয়োলো বেলিড, নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছসহ জেলি ফিশ।

চিকিৎসকরা জেলি ফিশের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, সৈকতে এ ধরনের প্রাণী দেখতে পেলে ছুঁয়েও দেখবেন না। তাহলে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারাত্মক রোগ।

কী রোগ বাসা বাঁধতে পারে জেলি ফিশ থেকে? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর শরীরে এক ধরনের টক্সিন থাকে। যা মানুষের সংস্পর্শে এলে ত্বকে এক ধরনের স্কিন ডিজিজ তৈরি করে। মানুষের ত্বক লাল হয়ে যায়, ফুলে যায় এবং চুলকানি হয়।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই চুলকানি সারাজীবনের জন্য থেকে যায়। নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতিতে জেলি ফিশের সংস্পর্শে তৈরি হওয়া স্কিন ডিজিজ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সাধারণত সমুদ্রের জলে লবনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তীরের দিকে ভেসে আসে জেলি ফিশ। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একধরনের অমেরুদণ্ডী প্রাণী। নামের শেষে ফিশ থাকলেও আদতেও এগুলো মাছ গোত্রের না। সমুদ্রের পাশাপাশি মিষ্টি জলের হ্রদ বা পুকুরেও পাওয়া যায় এটি। জেলি ফিশের আয়ু কম। কিন্তু দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে।

বর্তমানে সারাবিশ্বে বিজ্ঞানীরা প্রায় ২ হাজার প্রজাতির জেলি ফিশ সনাক্ত করতে পেরেছেন। বর্তমানে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার বেড়েছে।

এসএসএস