বিদ্যুৎ ও পানির সংকট কেন্দ্র করে গেল ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারে শুরু হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। প্রথমদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যায় দেশটির জেনজি বা তরুণ সম্প্রদায়। এরপরই তারা নেমে আসে রাস্তায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ মানুষ।
আন্দোলন দমাতে রাজধানীসহ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শত শত মানুষের অংশগ্রহণে মিছিল বের করে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়।
এমন অবস্থায় পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান এনটসে। ভেঙে দেয়া হয় মন্ত্রীসভা। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো দেশটির সামরিক জেনারেল রুফিন ফোর্টুনাত জাফিসাম্বোকে। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সামরিক মন্ত্রীসভার পরিচালক ছিলেন।
আরও পড়ুন:
জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংকট দূর করাই নতুন প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য থাকবে বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা।
এদিকে, নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। জেনজিদের আন্দোলনের অন্যতম দাবি হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ। সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ বা আলোচনায় বসতেও রাজি না তারা।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে মাদাগাস্কারে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। সহিংস এই আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২২ জন। আহত শতাধিক। যাদের বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কৃষি, খনিজ সম্পদ এবং জীব-বৈচিত্র্য থাকারও পর এটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দেশ। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৫ শতাংশ।





