হাতের ছোঁয়ায় কাঠ ও তামাসহ বিভিন্ন কিছুর গায়ে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত একদল তরুণী। বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়া কারুশিল্পের ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে তাদের এ অগ্রযাত্রা।
দৃশ্যটি মিশরের কায়রোর ঐতিহাসিক এলাকা আল-দারব আল-আহমার। কারুশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এ কর্মশালার সূচনা হয় আরও তিন বছর আগে। প্রতি গ্রীষ্মকালে দেয়া হয় কারুশিল্পের প্রশিক্ষণ। যেখানে হাত দিয়ে নকশা তৈরির কৌশল শিখতে পেরে খুশি নতুন প্রজন্ম।
একজন কারুশিল্পী বলেন, ‘আমি প্রতি গ্রীষ্মেই এখানে কিছু শিখতে ছুটে আসতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি, কাঠের খোদাই এবং তামায় খোদাই করা শিখেছি। এ বছরই কাঠে খোদাই করা শিখেছি। এটি খুব উপভোগ্য অভিজ্ঞতা ছিল।’
গুরুত্ব দিলে হারিয়ে যেতে বসা এ শিল্পকর্ম চাকরির বিকল্প হয়ে ওঠতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
একজন কারুশিল্পী বলেন, ‘ভবিষ্যতে মানুষের কাছে চাকরির বিকল্প হয়ে ওঠতে পারে শখের বসে শেখা এ শিল্প কর্ম বা কারুশিল্প খাত। আমি এটিকে শখ হিসেবে নিলেও সব সময় চালিয়ে যেতে চাই। এটা করতে আমার অনেক ভালো লাগে।’
কাঠ ও তামা ছাড়াও কাপড়ে কিভাবে নিজের পছন্দের নকশা করা যায়, সেসবেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এখানে। ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কারুশিল্পে আরও বেশি সৃজনশীল হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন দক্ষ কারুশিল্পীরা।
কারুশিল্পীরা বলেন, ‘ইন্টারনেট, ফেসবুক এবং প্রযুক্তির ছোঁয়া প্রতিটি ঘরেই আছে। তাই ঘরে বসেও নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে।’
আল-দারব আল-আহমার হল সেই এলাকা, যেখানে বেশিরভাগ ইসলামী শিল্প ও স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। আমরা এসব বিষয় কারুশিল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারি। যা আমাদের সৃজনশীল করে তোলার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও উপকৃত করবে।
কায়রোর আল-দারব আল-আহমার এলাকায় প্রতি গ্রীষ্মকালে হওয়া কারুশিল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি বিনামূল্যে হওয়ায় দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছর অন্তত ১০০ তরুণ-তরুণী এতে অংশ নিয়েছে।





