শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে ব্যাংককের দুটি আকাশচুম্বী ভবনের সংযোগ সেতু। ঠিক ওইসময় সেতুটি পার হচ্ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী কোরিয়ান যুবক কোওন ইয়ংজুন। লাফ দিয়ে অলৈকিকভাবে প্রাণে রক্ষাপান তিনি, যা সিনেমার চিত্রকল্পকেও হার মানিয়েছে।
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরার পর সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে কল দিয়ে খবর নেন হোটেল রুমে থাকা স্ত্রী-সন্তানের। ততক্ষণে ছোট্ট কন্যা নিয়ে নিরাপদে রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী ইয়াতুয়াম। এর কিছুক্ষণ পর ভূকম্পনে দুলতে থাকা বায়ান্ন তলা বিলাসবহুল হোটেলটি থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে; স্ত্রী-সন্তানকে অক্ষত দেখতে পেয়ে, আতঙ্কের মধ্যেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ওই যুবক।
ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় এই দম্পতি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন সেই মুহূর্তের কথা।
কোরিয়ান যুবক বলেন, 'ভাববার সময় ছিল না, আমি শুধু লাফ দিয়েছিলাম। পরে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় মনে হচ্ছিলো আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। বারবার আমার স্ত্রী আর ১৩ মাস বয়সী মেয়ের মুখ সামনে ভাসছিলো। সেই কঠিন মুহূর্তটা বলে বোঝানোর মতো না।'
তিনি স্ত্রী, 'ভিডিও ক্লিপটি থাই টিভি চ্যানেলে দেখার আগ পর্যন্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনি এটি এতোটা ভয়ঙ্কর ছিল। দেখার পর হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কতটা অলৈকিকভাবে আমার স্বামী বেঁচে গেছেন। এটি নিয়ে কথা বলতেই আমার গা শিউরে উঠছে।'
সেদিনের ভূমিকম্পের হাত থেকে এই দম্পতি প্রাণে রক্ষা পেলেও, ব্যাংককের ৩০ তলা নির্মাণাধীন ওই ভবনটি ধসে প্রাণ হারান অনেকে। এখনও নিখোঁজ ৭০ জনের বেশি।