স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর। আচমকাই দুলতে শুরু করে বহুতল ভবন। মাত্র ১২ মিনিটের ব্যবধানে পরপর শক্তিশালী দু'টি ভূমিকম্পের আঘাত। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য বলছে, ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের মাত্র ১২ মিনিট পর মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে ৬.৪ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইন থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে। বার্তা সংস্থা এপির তথ্য বলছে, ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্পের আঘাতে মিয়ানমারে মধ্যাঞ্চল ও রাজধানী নেইপিদোর বেশ কিছু রাস্তা বেঁকে গেছে। ভবন ধস ছাদ ভেঙে পড়ার খবরও মিলেছে কোথাও কোথাও।
শুধু মিয়ানমার নয়, ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ড, চীন, নেপাল, ভারতে। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ধসে পড়েছে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন।
যেখানে অন্তত অর্ধশত নির্মাণ শ্রমিক আটকে পড়েন বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ভূমিকম্পের আতঙ্কে ব্যাংককের রাস্তায় দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের। বহুতল ভবন থেকে নামার সময় রাস্তায় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমি ঘুমাচ্ছিলাম। কম্পন শুরু হওয়ার পর প্রথমে ভেবেছি আমার মাথা ঘুরাচ্ছে বলেই এমন মনে হচ্ছে। বাইরে তাকিয়ে দেখি সবাই রাস্তায়। আমিও সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে বাইরে বের হই।’
আরেকজন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। চলছে উদ্ধার অভিযান। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়নি থাই কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে ভূমিকম্পের আঘাতে চীন সীমান্তবর্তী তিব্বতে অন্তত ২০০ মানুষ আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্যা সান। এছাড়া, চীনের সিগাটসে শহরে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক বাসিন্দা।