বিদেশে এখন
0

দেশে দেশে চলছে সাড়ম্বরে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি

আমেরিকা থেকে ইউরোপ। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব- বড়দিনের প্রস্তুতি চলছে দেশে দেশে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, সংঘাত- সবকিছু সাথে নিয়েই জমকালো সাজে সেজে উঠছে শহরের পর শহর। আদ্যিকালের স্লেজ ছেড়ে হার্লি ডেভিডসনে মজছেন স্যান্টা ক্লজরা।

চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, জাঁকজমকপূর্ণ ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ, হীরা আর ক্রিস্টাল. বড়দিন আর নতুন বছরের আগমন সামনে রেখে ছুটির মৌসুমকে এভাবেই দোকানপাট, শপিং মল সেজেছে নিউ ইয়র্কে।

বাইরে থেকে পণ্যের এমন নজরকাড়া পসরা, তার ওপর বাদ্যবাজনা-সুরের মূর্ছনা দর্শনার্থী আর ক্রেতাদের দোকানের ভেতরে টেনে নিতে বাধ্য। মেসিজ, প্রাডা, অস্কার ডে লা রেন্টা, বার্গডর্ফ গুডম্যান, টিফানিসহ বড় বড় সব ব্র্যান্ডের বিশাল সব দোকানে পণ্য না কিনলেও ঘুরতে আসছেন অনেকে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার লা পাজে ছুটির মৌসুম শুরু উপলক্ষেই শুরু হয়েছে খুশির উদযাপন। হাজার হাজার রঙিন তারাবাতিতে সাজানো ৩৬ মিটার লম্বা ক্রিসমাস ট্রি আর রাতের আকাশে আতশবাজির খেলা দেখতে জড়ো হন হাজারও মানুষ।

এক নাগরিক বলেন, ‘সবকিছুর চেয়ে সবচেয়ে বেশি চাই শান্তি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি এটাই দরকার। কারণ আমরা সবাই শান্তিতে বাঁচতে চাই।’ বলিভিয়ার আরেক নাগরিক বলেন, ‘বলিভিয়ার সকল পরিবারের কল্যাণ কামনা করছি। এ দেশের রাজনৈতিক অশান্তি শেষ হয়ে যেন স্থায়ী শান্তি ফেরে।’

সুদূর ইউরোপে দেশে দেশে উঠেছে বড়দিনের সাজ সাজ রব। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিক-প্যারা অলিম্পিকের ইতালিতে হবে বলে মিলান সেজেছে অলিম্পিক থিমের ক্রিসমাস ট্রিতে।

বড়দিনের আগেই স্যান্টা ক্লজ হাজির জার্মানির জকগ্রিমে। তাও এক-দুজন নয়, দলে দলে। আদ্যিকালের বাহন স্লেজ ছেড়ে হালের স্যান্টা ক্লজদের বাহন হার্লি ডেভিডসন মোটরবাইক, যেগুলোতে চড়ে তারা এলাকায় এলাকায় শিশুদের উপহার বিতরণ করবেন; একইসঙ্গে দুস্থদের সাহায্যে করবেন তহবিল সংগ্রহ।

এক স্যান্টা ক্লজ সাজধারি বাইকার বলেন, ‘কারো খুশির জন্য তৈরি হতে পেরে ভীষণ সম্মানবোধ করছি আমি।’ ঘুরতে আসা আরেকজন বলেন, ‘অসুস্থ সন্তান আছে যেসব পরিবারে, তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহকরা, তাদের কল্যাণে ভালো কিছু করা, তাদের সাহায্য করা খুব দারুণ কিছু। আমি আশা করি, এই মানুষগুলোর সময় যেন ভালো কাটে।’

জীবন যেমনই হোক, থামার উপায় নেই। তাই তো যুদ্ধের মধ্যে এবার তৃতীয় বড়দিন উদযাপন করবে ইউক্রেন। কিয়েভে কয়েকশ বছরের পুরোনো সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রালে সেজেছে জাতীয় পতাকার রঙের আলোতে।

ইতিবাচক অনুভূতির অভাবে ভুগছি। আমাদের জীবনে আনন্দের অভাব। সে হতাশা থেকে সাময়িক হলে বিরতি মিলছে বড়দিনের আয়োজনে।

জর্জিয়ার কেনেসর আস্ত একটি আবাসিক এলাকা সাজানো হয়েছে ১২ লাখ এলইডি লাইট দিয়ে। ২৯ বছর আগে তিন লাখ লাইট দিয়ে শুরু ‘লাইটস অব জয়’ নামের এ আনন্দ আয়োজন হয় প্রতি বছর, যা দেখতে যান সারা দেশের দর্শনার্থীরা। ৬০ হাজার ডলার ব্যয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এ আয়োজন দেখতে হলে পাঁচ ডলারের টিকেট কাটতে হয় দর্শনার্থীদের।

এএম