বিদেশে এখন
0

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফ্রান্সে রাজনৈতিক অচলাবস্থা

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে একক কোন দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এ পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী গ্রাব্রিয়াল আতাল পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকদিনের জন্য স্বপদে বহাল থাকার অনুরোধ জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁকো।

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নতুন প্রেসিডেন্ট পাওয়ার পরিবর্তে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। প্যারিসসহ গোটা ফ্রান্সেই ছড়িয়েছে উত্তাপ। এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বামপন্থী জোট-এনএফপির ও কট্টর ডানপন্থি দল আরএন'র সঙ্গে পুলিশের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে মোতায়নের রয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ।

ফ্রান্সের উত্তাল এ পরিস্থিতির মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী গ্রাব্রিয়াল আতাল। তবে পরিস্থিতির স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে আরও কয়েকদিনের জন্য স্বপদে বহাল থাকার অনুরোধ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

ফ্রান্সে পার্লামেন্টের ৫৭৭ আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে দরকার ২৮৯ টি আসন। তবে কোন দলের ভাগ্যেই মেলেনি সেই সুযোগ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বামপন্থী জোট-এনএফপি পেয়েছে ১৮২টি আসন। অপরদিকে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি এনসেম্বল জোট পেয়েছে ১৬৮টি আসন। আর প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে থাকা কট্টর ডানপন্থি আরএন'র দল পেয়েছে ১৪৩ আসন। একক কোনো রাজনৈতিক দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফ্রান্সজুড়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা।

বাম জোটের নেতা জিন-লুক মেলেনচন বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছেন। এই ফলাফল তাদের জন্য উৎসর্গ করছি। ভোট থেকে যে শিক্ষা নিতে হবে তাও সত্য। কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও তার জোটের পরাজয় হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিউ পপুলার ফ্রন্টকে শাসন করার আহ্বান জানানো ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দায়িত্ব।’

কট্টর ডানপন্থি নেতা মেরিন লে পেন বলেন, ‘আমরা হেরে যাচ্ছি। এতে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নীতি, মানুষের কমে যাওয়া ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোসহ দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় অনেকটা পিছিয়ে পড়বো। তবে আমরা যে কজনই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে থাকবো, সবাই ফরাসিদের পাশে থাকব এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।’

এ পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে ফ্রান্সে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলেও শঙ্কা জানিয়েছে দেশটির অর্থমন্ত্রী। সোমবার এক টুইট বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

ইএ