জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত, ঋণের বোঝা আর আন্তর্জাতিক সহায়তা কমায় সারাবিশ্বে ২০২৪ সালে আরও প্রকট হবে মানবিক বিপর্যয়। বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, আইআরসি'র প্রতিবেদন বলছে, আগামী বছর সবচেয়ে বেশি মানবিক সংকটে পড়তে পারে আফ্রিকার ২০ টি দেশ। চলতি বছরই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ।
যুদ্ধ-সংঘাত আর জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা যেন প্রকট আকার ধারণ করেছে চলতি বছর। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান, মিয়ানমারে সেনাবিরোধী সংঘাত, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে চলতি বছর শরণার্থী হয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলবায়ু বিপর্যয়, দেশে দেশে ঋণের বোঝা, সহায়তা দিয়েও পেরে উঠছে না আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো। জাতিসংঘ বলছে, ২০২৩ সালে মানবিক সংকট মোকাবিলায় ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৪ সালে প্রয়োজন পড়বে সাড়ে ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
আইআরসি বলছে, চলতি বছরই সাহায্যপ্রার্থী মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩০ কোটিতে পৌঁছেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটিতে। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী এই মানবিক সংকট আরও বাড়ার পূ্র্বাভাস দিচ্ছে সংস্থাটি। আইআরসি বলছে, সবচেয়ে বেশি মানবেতর পরিস্থিতি হবে সুদান আর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোর।
এছাড়াও, সাব সাহারা অঞ্চলের নয় দেশসহ এশিয়ার মিয়ানমার ও আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যে লেবানন, সিরিয়া আর ইয়েমেন, ইউরোপে ইউক্রেন, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর আর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের হাইতি রয়েছে বিশেষ ঝুঁকিতে। এই অঞ্চলগুলোতে বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ বাস করলেও মানবিক সহায়তার ৮৬ শতাংশই প্রয়োজন এই অঞ্চলগুলোতে। বাস্তুচ্যুত ৭০ শতাংশ মানুষ এখানকারই। যারা চরম আকারে দারিদ্র্য আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে।

