বিদেশে এখন , উত্তর আমেরিকা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ১ দিনের মাথায় ক্রিপ্টো বাজারে ব্যাপক দরপতন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মাত্র ১ দিনের মাথায় ব্যাপক দরপতনের শিকার ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিট কয়েনের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ। দর হারিয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে ট্রাম্প ও মেলানিয়া কয়েনের বিনিময় মূল্য। বিশ্লেষকদের ধারণা, শপথ গ্রহণের পরের ভাষণ ও নির্বাহী আদেশে ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রসঙ্গ প্রাধান্য না পাওয়ায় আস্থাহীনতায় বিনিয়োগকারীরা। এদিকে, বাণিজ্য শুল্কারোপের শঙ্কায় কিছুটা অস্থির ইউরোপের পুঁজিবাজার।

গেল সোমবার ক্যাপিটল হিল রটান্ডায় শপথের মাধ্যমে রাজসিক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন এই রিপাবলিকান নেতা। নভেম্বরে নির্বাচনে জয়লাভের পর সেই চিত্র দেখা গেলেও শপথ গ্রহণের পর অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে উল্টোদিকে।

শপথ গ্রহণের সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো মুদ্রা বিট কয়েনের দাম ছিল ইতিহাস সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯ হাজার ডলারের বেশি। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই না নেমে এসেছে ১ লাখ ডলারের কাছাকাছি। কয়েন গেকোর তথ্য বলছে, একদিনে বিট কয়েনের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ।

দরপতন হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাম্প ও মেলানিয়া কয়েন। শুক্রবার উন্মুক্ত হওয়া ট্রাম্প কয়েনের মূল্য শপথ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দর হারিয়েছে ২২ শতাংশ। বর্তমানে ভার্চুয়াল মুদ্রাটির মূল্য মাত্র সাড়ে ৬ ডলার। মেলানিয়া কয়েনের অবস্থা আরো করুণ। একদিনে ৫৮ শতাংশ দর হারিয়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডির কয়েন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজধানীতে পরিণত করার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের সময় বাণিজ্য শুল্ক, অভিবাসী ইস্যুতে কথা বলেন নয়া প্রেসিডেন্ট। টিকটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ৩ মাস পিছিয়ে দেয়াসহ সই করেন প্রায় ৮০টি নির্বাহী আদেশে। রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, পরিবর্তনের জোয়ারে উপেক্ষিত ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি ইস্যু। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় টালমাটাল ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি রপ্তানি কিংবা বাণিজ্য শুল্কারোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এতে করে কিছুটা অস্থির ইউরোপের পুঁজিবাজার। তবে একে ট্রাম্পের সমঝোতা কৌশল হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জুলিয়াস বায়ের ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড কোল বলেন, ‘এখন যেদিকে পরিস্থিতি যাচ্ছে, ধারণা করাই যায় এটি ট্রাম্পের সমঝোতা কৌশল। তিনি বাণিজ্য শুল্কারোপ করতে চান না। তবে হুমকি দেয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক অংশীদারদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে চান।’

তবে, আনপ্রেডিক্টেবল ট্রাম্পের মাথায় আসলে কী চলছে, সেটি ট্রাম্প ছাড়া আর কেউই বলতে পারবেন না বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ