ভারতের আদানি গোড্ডা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গেলো বছর এপ্রিলে।
দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে আমদানিকৃত বিদ্যুতের খরচ তুলনামূলক কম হলেও আদানির রপ্তানি করা কয়লাবিদ্যুৎ দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বলে বিতর্কও কম হয়নি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির কল্যাণে ব্যাপক লাভের মুখ দেখে বাজারমূল্যে ভারতের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি।
ঝাড়খান্ডের ১৬শ' মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এতোদিন শুধু বাংলাদেশের রপ্তানির লক্ষ্যে উৎপাদন করলেও দু'দিন আগে পাল্টেছে দৃশ্যপট।
জাতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানি বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে ঝাড়খান্ডের ওই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ নিজ দেশেও বিক্রি করতে পারবে আদানি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রতিবেশী একটি দেশে বিশেষভাবে' বিদ্যুৎ বিক্রি বিষয়ক ২০১৮ সালের একটি বিধিমালা সংশোধন করেছে ভারত সরকার।
ফলে বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আদানি গোড্ডার কয়লাবিদ্যুৎ শতভাগ বাংলাদেশমুখী থাকছে না।
বরং সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে এখন থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
নয়াদিল্লির এ পদক্ষেপের পর, বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হলেও স্থানীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে আদানি গ্রুপ।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানান, এ বিধি সংশোধনীর মাধ্য ভারতের সামগ্রিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়বে এবং দেশে ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দেয়া সম্ভব হবে।