প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সম্পদ হস্তান্তর আবহমানকালের রীতি। তবে সময়ের সঙ্গে সম্পদ বদলের ধরন ও উদ্দেশে এসেছে পরিবর্তন। এসব পরিবর্তন নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বহুজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলট্রাটার।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, আগামী ১০ বছরে বিশ্বজুড়ে ৩১ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ হস্তান্তর করবেন প্রায় ১২ লাখ ধনী মানুষ। যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপির চেয়ে বেশি এবং প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের বাজার মূলধনের ১০ গুণ।
তবে সব শ্রেণির ধনী ব্যক্তিরা একই হারে সম্পদ হস্তান্তর করবেন না। অতিধনীদের সম্পদ হস্তান্তরের পরিমাণ বেশি। অঞ্চল ভেদেও থাকবে এর তারতম্য। এশিয়ায় ধনী মানুষের সংখ্যা বেশি থাকলেও, সম্পদ হস্তান্তরে এগিয়ে ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপ।
সম্পত্তি হস্তান্তর হবে প্রধানত ভাইবোন, নাতি, বন্ধু ও সহযোগীদের মধ্যে। পাশাপাশি একটি অংশ যাবে ব্যবসায়িক অংশীদার ও কল্যাণমূলক কাজে। দানের ক্ষেত্র নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম প্রাধান্য দিবে সামাজিক কল্যাণ, শিল্পকলা ও শিক্ষা খাতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পারিবারিক সম্পদ বিতরণ ও ভবিষ্যৎ মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়তে পারে। ধনী পরিবারের সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। যা উত্তরাধিকার নির্বাচন ও সম্পদের বণ্টনকে ক্রমেই জটিল করে তুলছে।
এমনকি পরিবারন প্রধানের জীবদ্দশায় সম্পদ হস্তান্তরের প্রবণতাও ঊর্ধ্বমুখী। গবেষণা বলছে, সম্পদ হস্তান্তরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন আশির দশকে জন্ম নেয়া প্রজন্ম। কারণ এর পরের প্রজন্ম পিতামহদের কাছ থেকে সম্পদ পাবেন।
ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পদ হস্তান্তর ও বন্টনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে আলট্রাটার এই প্রতিবেদনে।