মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী বিশ্বের সবচেয়ে বড় হালাল পণ্য প্রদর্শনী মেলা। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ ৩৯টি দেশের এক হাজারের বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান। দুই হাজারেরও বেশি বুথে পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। যেখানে আছে বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও । গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ২১তম এ আসরে ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘এই মেলায় শুধু বাংলাদেশিদের জন্যই এসেছিলাম। এখন এসে দেখেছি ব্রুনাই, কাতার, ইন্দোনেশিয়াসহ সবদেশের মানুষরা মাটন বিরিয়ানি পছন্দ করছে।’
‘হালাল উৎকর্ষের শীর্ষবিন্দু’ প্রতিপাদ্যে এ মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে খাদ্য ও পানীয়, ফার্মাসিউটিক্যালস, মেডিকেল ডিভাইস, ইসলামিক অর্থনীতি, ফ্যাশন লাইফস্টাইল, কসমেটিকস ও মুসলিম বন্ধুসুলভ পর্যটনের নানা সেবা ও পণ্য।
আরও পড়ুন:
বুথ পরিদর্শন শেষে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে হাইকমিশনের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
মালয়েশিয়া ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্য ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানোর জন্য সরকার ও দূতাবাস কাজ করছে। আমাদের দূতাবাস শুধু ২০২৪ সালে দশটি মেলায় অংশ নিয়েছে।’
মালয়েশিয়ার বাজারে দেশি হালাল পণ্যের সহজ ও সরাসরি প্রবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের কথা জানান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো মহাপরিচালক বেবী রাণী কর্মকার বলেন, ‘মালয়েশিয়া, ইউরোপীয়ন ইউনিয়নসহ সারাবিশ্ব থেকে ক্রেতারা আমাদের দেশে যাবে। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হবে। এ বিষয়টিও প্রমোট করার জন্য আমরা এ প্লাটফর্মটি বেছে নিয়েছি।’
বিশ্বব্যাপী হালাল শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে মালয়েশিয়া। এবারের মেলায় পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশেষায়িত ক্রেতা বিক্রেতা বৈঠক, নলেজ হাব সেমিনার ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। গতবছর ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন রিঙ্গিত বিক্রির রেকর্ড গড়েছিলো এ মেলা। আয়োজকদের আশা, এবারের আয়োজন সেই সাফল্য ছাড়িয়ে যাবে।





