মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বাংলাবর্ষ ১৪৩১ কে স্বাগত জানালেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে তাদের পরনে পোশাক আর সাজসজ্জায় ফুটে উঠে বাঙালিয়ানা।
বিদেশের মাটিতে বর্ষবরণের আয়োজনে প্রবাসীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঁশি আর ঢাকের তালে গানে-নাচে মেতেছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণও মুগ্ধ করে সবাইকে। ছিলো যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। এরমধ্য দিয়ে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের সঙ্গে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি চর্চার পরিচয় ঘটে।
প্রবাসীরা বলেন, আমরা সকলের সহযোগিতায় এমন আয়োজনের পরিসর আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবো। নববর্ষ দেশের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বিদেেশের মাটিতে পালন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দেশের এতো দূরে থেকেও বাংলার এ সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত।
দেশটির কিছু কিছু হোটেল রেস্তোরাঁয় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনভর ছিল পান্তা ইলিশের আয়োজন। কোন কোন প্রতিষ্ঠান আবার খাবারের উপর ছাড় ঘোষণা করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্যিক চিন্তা নয় বরং দেশের বাইরে নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতেই এমন উদ্যোগ।
দুবাইয়ের এশিয়া রয়েল রেস্টুরেন্টের শামীম খান বলেন, 'পান্তা-ইলিশের আয়োজনটা ব্যবসার জন্য নয়, আমাদের ঐতিহ্যের জন্য করেছি। খুবই সুলভ মূল্যে আমরা এর ব্যবস্থা করেছি।'
ইতালির রোমে দিনভর চলে নববর্ষের আয়োজন। ছবি: এখন টিভি
এদিকে বৈশাখ উদযাপনে কমতি ছিল না ইতালি প্রাবাসীদের মাঝে। বাঙালি সংস্কৃতির নানা আয়োজনে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেন তারা। সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিলো রোমের তুসকোলোনা পার্কে। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আসছেন রোম প্রবাসীরা।
প্রবাসে থেকেও নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলার এই প্রাণের উৎসবের জানান দিতে পেরে খুশি বাবা-মায়েরা।
তারা বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা নিজের দেশকে জানাতে পারছি। ইতালি থেকে বাংলাদেশকে খুব কাছে ফিল করছি। ইতালির কাছে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।
উৎসবে প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানান ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দীন। বলেন, 'প্রবাসী সকলের নববর্ষের মতো করে প্রতিটি দিন কাটুক।'
বর্ষবরণের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ইতালির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসীদের প্রত্যাশা, বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস হবে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য।