হার্টের সর্বাধুনিক সার্জারিতে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকটা পথ। ছোট-বড়, সব বয়সী রোগীর সার্জারিতে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন দেশের সার্জনরা। তবুও বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে, নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়াতে রাজধানীতে কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজন করেছে তিনদিনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স।
এতে অংশ নেয়া প্রায় ৭০০ চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন প্রায় আড়াইশ কার্ডিয়াক সার্জন। ফ্যাকাল্টি হিসেবে অংশ নিয়েছেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারত, চায়নাসহ বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ সার্জনরা।
কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অব বাংলাদেশ'র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, 'সিনিয়ররা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে। আর জুনিয়ররা অনুপ্রাণিত হবে। আমরা ভবিষ্যতে সামর্থ্যবানদের হাতেই কার্ডিয়াক সার্জারি দেখতে চাই।'
তিনদিনের কনফারেন্সের প্রথমদিনে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন শীর্ষ সার্জনরা। পরে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয় সার্টিফিকেট।
দেশে কার্ডিয়াক সার্জারির মানোন্নয়ন হয়েছে বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই। তবুও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আরও সক্ষম করার পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সরকারি সেন্টারগুলোকে চালুর উদ্যোগ নেবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ও ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা.জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'এখানে ১৯ থেকে ২০ হলেই মানুষ মারা যায়। এটার নিবির পরিচর্যা একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে এবং এটা সম্ভব। সেটার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব দরকার।'
দেশে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারির সংখ্যা হাতেগোনা। যদিও শিশু হৃদরোগীদের ৭০ শতাংশের বেশির দরকার হয় কার্ডিয়াক সার্জারির। এ অবস্থার পরিবর্তনেও কাজ করার প্রত্যাশা কার্ডিয়াক সোসাইটির।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. কাজী আবুল হাসান বলেন, 'কার্ডিয়াক সার্জারি ডেভেলপমেন্টের জন্য অফিসিয়ালি দুইটা সেশন রাখা হয়েছে। এতে অনেক ছেলেমেয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে।'
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৭ হাজার কার্ডিয়াক সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। যদিও এটিকে ২৫ হাজার উন্নীত করার ইচ্ছা সার্জনদের। তবে যত হাজার কার্ডিয়াক সার্জারি বর্তমানে সম্পন্ন সেগুলোর গুণগতমাণ বাড়াতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়ে নেয়ার ইচ্ছা কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অব বাংলাদেশের।