জলবায়ু প্রস্তুতি জোরদারে খুলনায় আঞ্চলিক ক্লাইমেট অ্যাপ্লিকেশন ফোরাম অনুষ্ঠিত

আঞ্চলিক ক্লাইমেট অ্যাপ্লিকেশন ফোরাম
আঞ্চলিক ক্লাইমেট অ্যাপ্লিকেশন ফোরাম | ছবি: সংগৃহীত
1

বাংলাদেশে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং দীর্ঘমেয়াদি মৌসুমি পূর্বাভাসের ব্যবহার বাড়াতে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক ‘ক্লাইমেট অ্যাপ্লিকেশন ফোরাম ২০২৫’। জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি এবার প্রথমবার বিভাগীয় পর্যায়ে এ ফোরাম আয়োজন করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে কেয়ার বাংলাদেশের ‘নবপল্লব’ প্রকল্প, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের ‘ওয়েদার ব্রিজেস’ প্রকল্প এবং আরআইএমইএস বাস্তবায়িত ইউএইচসিআরবিই প্রকল্প।

জলবায়ু–সংবেদনশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও চরম আবহাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে মৌসুমভিত্তিক পূর্বাভাসের সঠিক ব্যবহার কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, পানি–সম্পদ, স্বাস্থ্য ও নগর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন খাতে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোরামে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের পূর্বাভাসের কার্যকারিতা পর্যালোচনা, ২০২৫ সালের চরম আবহাওয়া ঘটনাবলির অভিজ্ঞতা এবং চলতি শীত মৌসুমের পূর্বাভাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন:

অনুষ্ঠানে হাইড্রো-মেটের উদ্যোগ, কেয়ার বাংলাদেশের নবপল্লব প্রকল্প এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের বিআরসিআইএস প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন পূর্বাভাসের মূল্যায়ন ও নতুন শীতকালীন পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়। দৈনিক আবহাওয়ার বুলেটিন আরও ব্যবহারবান্ধব করতে অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয়।

ফোরামে ‘ফারমার্স ফার্ম স্কুল’ উদ্যোগের অভিজ্ঞতা এবং কৃষি–প্রাণীসম্পদ খাতে জলবায়ু তথ্যের ব্যবহারযোগ্যতা তুলে ধরা হয়। এছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য আবহাওয়ানির্ভর ন্যাশনাল লাইভস্টক অ্যাডভাইজরি সার্ভিস পরিচিতি দেয়া হয়।

সমাপনী আলোচনায় বক্তারা বলেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ ও তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা জলবায়ু প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করবে। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়—বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর , কেয়ার বাংলাদেশ, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন, আরআইএমইএস, স্থানীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থা।

সেজু