মধ্যগগনে সূর্যের খরতাপ। বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত প্রাণীকূল আর পরিবেশ। পারদ চড়ছে প্রতিদিনই। যার উত্তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। নগরের বিভিন্ন রাস্তায় মানুষের চলাচল এখন সীমিত।
তীব্র গরমে নাকাল খেটে খাওয়া, নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ। এক রিকশাচালক বলেন, এই গরমে সারাদিন রিকশা চালাইয়া ৪০০-৫০০ টাকা কামানো কষ্ট হইয়া যায়। শুধু ছায়া খুঁজি, আগের মতো যাত্রী নিয়া যাইতে পারি না।
তীব্র গরমে পানিবাহিত রোগসহ নানা অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। দুর্ভোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
প্রচণ্ড গরমে শারীরিক সুস্থতার জন্য বেশকিছু নিয়ম মানতে হবে বলে জানান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক আয়েশা আক্তার শিল্পী। বলেন, 'বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই অধিক সচেতন হবে। কারণ বাচ্চারা খেলাধুলা করতে গিয়ে ঘেমে যাচ্ছে। এই ঘামেই কিন্তু তাদের ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক বাচ্চা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর বয়স্কদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের গরমে অনকে সমস্যা দেখা দেয়।'
দেশজুড়ে চলা তাপদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা এলাকাভেদে আরও বাড়তে পারে। দেশে তিনদিনের হিট ওয়েভ এলার্মিং আরও কয়েকদিন অপরিবর্তিত থাকবে।
এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতে রাজধানী ও এর বাইরে তাপমাত্রা কমার কোন সুখবর নেই। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।