আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গেলো দুই দিনের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতর ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, 'টানা কয়েকদিন থেকে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমতির দিকে। তাপমাত্রা ১৪.০ ডিগ্রি থেকে কমতে কমতে আজ সেই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।' তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন এমন অবস্থায় থাকতে পারেও বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাত থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ। সেই সাথে কনকনে শীত আর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। এতে চরম বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
ঘন কুয়াশার কারনে রাস্তাঘাটে কম গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। রাস্তাঘাটে যাত্রী না থাকায় আয় কমেছে ছোট ছোট যানবাহনের। এছাড়াও হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ।
চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, 'ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারনে আমরা আলু ও বোরো বীজতলা নিয়ে টেনশনে আছি। ইতিমধ্যে আলুতে নানানরকম রোগবালাই দেখা দিয়েছে এবং বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে কুয়াশা হলেও বোরো রোপণ করা সম্ভব হবে না।'
হিলি বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সজিব হোসেন বলেন, ‘হিলিতে যেভাবে কুয়াশা পড়ছে এর সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। যার কারণে প্রচণ্ড শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে বাড়ি থেকে আসতে দেরি হওয়ায় দোকান খুলতেও দেরি হচ্ছে। তবে তীব্র শীতের মাঝে এত কষ্ট করে দোকান খুলেও আমাদের কোনও লাভ হচ্ছে না। কারণ শীতের কারণে বাজারে মানুষজন তেমন নেই। যার কারণে বেচাকেনাও তেমন একটা নেই।’