প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাখাতে বগুড়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করা হবে। বগুড়াতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস নির্মাণ করা হবে। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ট্রেনিং করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও শিবগঞ্জ উপজেলার ছয়টি কলেজকে জাতীয়করণসহ যাবতীয় উন্নয়ন ঘটানোর জন্য চেষ্টা করবো।’
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ছয়টি কলেজের এক হাজার ২০০ এর বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ব্যতিক্রমী এই ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ছাত্র-শিক্ষকদের পাশাপাশি সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশটি শিক্ষানুরাগীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর শিবগঞ্জ উপজেলার ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অত্যন্ত চমৎকার বলে জানিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানমালায় ছিল ৫ আগস্ট শহীদদের স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃতি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পাঠদানের কৌশল, শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করার কৌশল, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলগামী করার কৌশলসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের নানাদিক আলোচনায় স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যা ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
গেস্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহা. হাছানাত আলী। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার, পরিচালক রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফসহ ছয়টি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ।
ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে এমন একটি ব্যতিক্রম ধর্মী চমৎকার আয়োজন করার জন্য আয়োজক মীর শাহেআলমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এসময় অন্যান্য বক্তারা এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে নানা কৌশল আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা দূরীকরণে পরামর্শ প্রদান করেন।