এই অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক ও আচরণগত মূল্যায়ন তিন ধাপে করা হবে। প্রথম ধাপে ক্লাসে কী শিখছে তার ওপর মূল্যায়ন হবে। প্রতি ৬ মাস পর আরেক ধাপ মূল্যায়ন হবে। আর বছর শেষে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে। তবে শ্রেণি শিক্ষকের মূল্যায়ন তৈরির আগে অ্যাপে প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রাথমিক কিছু কাজ শেষ করতে হবে। তারপরই শিক্ষকরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদা আলাদা করে মূল্যায়ন করতে পারবেন।
কিন্তু 'নৈপূণ্য' অ্যাপের সার্ভারে প্রবেশই মুশকিল হয়ে পড়ছে। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আইটি বিভাগ সার্ভার ডাউন থাকায় 'নৈপুণ্য' অ্যাপে তাদের প্রাথমিক কাজ শেষ করতে পারছে না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের আইটি এক্সপার্ট মু. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মূলত সমস্যা হচ্ছে নেটওয়ার্ক ব্যস্ত, অনেক বেশি ইউজার একসঙ্গে ব্যবহার করায় এমনটি হচ্ছে।’
এই চিত্র শুধু ঢাকার কোন একটি প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক একইভাবে ভুক্তভোগী। বগুড়ার এক শিক্ষক বলেন, ‘অ্যাপে যথাসময়ে কাজ করতে পারছি না। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘ব্যানবেইস, বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষাবোর্ডের তথ্যের ভিন্নতা থাকায় অ্যাপ ব্যবহারে জটিলতা বেড়েছে।’
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘সারাদেশের সব শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আসবে, তা আগে থেকে চিন্তা করে অ্যাপের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা উচিত ছিল।’
এটুআই ও ইউনিসেফ-এর কারিগরি সহায়তায় 'নৈপুণ্য' অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এটুআই-এর এডুকেশন এক্সপার্ট মো. সাজ্জাদ হোসেন খান বলেন, নিয়মিত অ্যাপটি আপডেট করা হচ্ছে, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে।
মাধ্যমিকের পাশাপাশি ২০২৪ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘নৈপুণ্যে’ অ্যাপে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।