কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
অর্থনীতি

কর্মসংস্থান হয়েছে ৩ শতাধিক যুবকের

কেঁচো সার উৎপাদনে মাসে আয় দেড় লাখ টাকা

সিরাজগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে কম্পোস্ট সার। এতে ভাগ্য বদলে গেছে শতাধিক বেকারের। কেউ কেউ প্রতিমাসে আয় করছেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বড় হামকুড়িয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রাশিদুল ইসলাম। কৃষি বিভাগের সহাযোগিতায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন কেঁচো সার উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান।

বিভিন্ন গরুর খামার থেকে গোবর সংগ্রহ করে ১০০টি রিং ও বেডে কেঁচো রেখে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে প্রতিমাসে উৎপাদন করছেন অন্তত ৩০ টন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এখান থেকে প্রতি মাসে আয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

স্মার্ট অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিমাসে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মত উপার্জন হচ্ছে। অনলাইন প্লাটর্ফমের মাধ্যমে সারাদেশেই বিক্রি করতে পারছি।'

সায়দাবাদ ইউনিয়নের আরেক উদ্যোক্তা মোক্তার হোসেন প্রতিমাসে উৎপাদন করছেন ২৫ টন ভার্মি কম্পোস্ট সার৷ এছাড়াও মাসে বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ কেজি কেঁচো। এতে মাসে তার আয় অন্তত দেড় লাখ টাকা।

শক্তি ভার্মি কম্পোস্টের উদ্যোক্তা মোক্তার হোসেন বলেন, 'নিজের চাহিদা মেটানোর পরেও প্রতিমাসে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিমাসে ২৫ টনের মত সার সারাদেশে বিক্রি করতে পারছি।'

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এমন ৭৫ জন উদ্যোক্তা প্রতিমাসে প্রায় ১০০ টন কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। আর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত তিন শতাধিক মানুষের।

কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, 'এখানে কাজ কইরা পরিবার নিয়া ভালোই চলতে পারতেছি। আমাদের খুব উপকার হইসে।'

মাঠ পর্যায়ে জৈব সারের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, 'মাঠপর্যায়ে কেঁচো সারের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কৃষকদের বলেছি তারা যদি এটাকে ব্যবসা হিসেবে নেয় তাহলে কৃষিতে অবদান রাখতে পারবে।'

প্রতিমাসে জেলায় এক হাজার ২শ' টনের বেশি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর