আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বিপাকে আমদানি-রপ্তানিকারকরা

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের সড়ক-মহাসড়ক। এতে বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে দেখা দিয়েছে নতুন সংকট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ও কুমিল্লা অংশে আটকা পড়েছে পণ্য বোঝাই বিপুল সংখ্যক গাড়ি। এতে বন্দরে বেড়েছে কনটেইনার ও জাহাজ জট। যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে ব্যবসায়ীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও বন্যা হানা দেয়। এতে রপ্তানিকারকদের কপালে দেখা দিয়েছে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, আন্দোলনের সময় কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। একইসঙ্গে হাতছাড়া হয় অনেক অর্ডার। এ অবস্থায় যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি না হলে অর্ডার বাতিল কিংবা ক্রেতারা পোশাকের দাম কমিয়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা তাদের।

বিজিএমইএ'র সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'টাইমটা মেলাতে না পারলে ক্রেতার কাছেও আমরা কনফিডেন্স হারাই। তারা আমাদের ডিসকাউন্ট দিতে বলে বা ভবিষ্যতের বুকিংয়ের জন্য আমরা একটা বেকায়দায় পড়ে যাই। খুব দ্রুত কার্গো মুভ করা গেলে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।'

এদিকে গত কয়েক দিনে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পণ্যবোঝাই কনটেইনার ডেলিভারি হলেও এখনও জমে আছে ৪০ হাজার টিইউএস কনটেইনার। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মহাসড়কে পানি উঠে যাওয়ায় কমেছে ডেলিভারি। ডিপো সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থায় বন্দরে কনটেইনার ও জাহাজ জটই শুধু বাড়বে না, বরং নতুন করে সংকটে পড়বে আমদানিকৃত পণ্য ডেলিভারি ও রপ্তানি বাণিজ্য।

কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন শিকদার বলেন, 'পরবর্তী দিনগুলোতে কিন্তু এই বাড়তি চাপটা আমরা হ্যান্ডেলিং করতে গিয়ে বর্তমানের চেয়েও ভয়াবহ সিচুয়েশন তৈরি হবে বলে আমরা মনে করি। এই সংকট নিরসনে আমাদের এখন থেকেই চিন্তা করা উচিত।'

জায়গা সংকট, বৃষ্টিসহ নানা কারণে পণ্য খালাসে বিলম্বে সম্প্রতি বন্দরের জাহাজের গড় অবস্থানকাল দুই থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার দিনে। জেটিতে ভিড়তে একেকটি কনটেইনারবাহী জাহাজকে বহিনোঙরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তিন থেকে সর্বোচ্চ আট দিন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিপিং এজেন্ট ও আমদানিকারকরা।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর  

No Article Found!