ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য মনোনীত একাধিক ব্যক্তি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করেছেন। ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী স্কট বেসেন্ট, প্রকাশ্যে ক্রিপ্টোকে সমর্থন করে বলেছেন ‘ক্রিপ্টো মূলত আর্থিক স্বাধীনতার বিষয় এবং ক্রিপ্টো অর্থনীতি থাকার জন্য এসেছে’।
এছাড়া তিনি বিটকয়েন-সম্পর্কিত এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে বিনিয়োগও করেছেন। একইভাবে, বাণিজ্যসচিব পদে ট্রাম্পের মনোনীত হাওয়ার্ড লুটনিক বিটকয়েনের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন দেখিয়েছেন। ডিজিটাল মুদ্রায় তার কোম্পানির উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এর মাধ্যমে সরকারের ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টা তদারকি করার জন্য মনোনীত বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাডভোকেট ছিলেন। বিশেষ করে ইলন বিটকয়েন ও ডজিকয়েনের জন্য অ্যাডভোকেসি করেছেন। এর আগে ইলনের কোম্পানি টেসলাও অতীত বিটকয়েন বিনিয়োগ করেছে।
স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা বিবেক রামাস্বামী এবং হোয়াইট হাউসের নতুন এআই ও ক্রিপ্টো সিজার ডেভিড স্যাকসের মতো অন্যান্য মনোনয়ন প্রাপ্তরাও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে অবদান রাখবে বলে আশা করছে ক্রিপ্টো সংশ্লিষ্টরা। রামস্বামীর দৃঢ় বিটকয়েনকে তার বিনিয়োগ কৌশলগুলিতে একীভূত করেছে, যখন স্যাকসকে শিল্পের জন্য একটি আইনি কাঠামো বিকাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ক্রিপ্টো খাতে ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের থেকেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ দেখা গেছে। গত বছর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা জায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সন্তান এরিক ট্রাম্প ও তার ভাইয়েরা ক্রিপ্টো ভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেহেতু ক্রিপ্টো বিনিয়োগের সঙ্গে জড়ির এ কারণে ক্রিপ্টো সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী নতুন মার্কিন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সি সহায়ক হবে।