চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১২ হাজার কোটি টাকা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকারের আমলে ৪১ বছরের এই পুরানো ন্যাশনাল ব্যাংককে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে শিকদার পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের বিরুদ্ধে।
এতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ সহায়তা দেয়া বন্ধ করলে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকটি। পরে পুরানো পরিচালকদের দায়িত্ব দিলে ব্যাংকটি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলনের সমস্যা আর থাকবে না বলে জানায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদ। দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
এসময়, ব্যাংকটিকে পুনরুদ্ধারের সার্বিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন লক্ষ্য রিকভারি করা, বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ানো, রেমিট্যান্স ব্যবসা বাড়ানো এসব করলে আমি মনে করি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমাদের ব্যাংক স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।’
এছাড়া ব্যাংক থেকে যে অর্থ বেরিয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনতে সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি। যা আগামী সপ্তাহে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুইটা পর্যায়ে কাজ করতে চাই। একটা যে টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে তা রিকভারি করা আর বাংলাদেশে যেটা আছে সেটা উদ্ধার করা।’
এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকে এখন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয়সহ পাঁচটি অডিট ফার্ম কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা জানায় ব্যাংকটির পর্ষদ।