ব্যবসায়ীরা বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক সম্মুখীন হবে।
এসময় তারা বলেন, নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
সমিতির সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, এখন যে রাস্তাঘাটে রাবার ও প্লাস্টিকের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকা খুব বেশি পড়ে থাকতে দেখা যায় না, তার বড় অবদান এ খাতের পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার। দেশজুড়ে এ ধরনের কারখানা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে।
তিনি জানান, বর্তমানে পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সদস্যসংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচশ। এসব কারখানা বছরে কয়েক কোটি জোড়া কম দামি চপ্পল ও পাদুকা তৈরি করে। স্থানীয়ভাবে অনেক মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সর্বশেষ ৯ জানুয়ারি প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তাই এ খাতে ভ্যাট অব্যাহতির আগের সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা। দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের কথা বিবেচনার পাশাপাশি এই শিল্পের নেতিবাচক প্রভাব কাটাতে সরকারকে সিদ্ধান্ত বিবেচনার দাবি জানান এই খাতের ব্যবসায়ী নেতারা।