অভিযুক্ত ব্যক্তি শামীম আল মামুন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসডি প্লাজার সামনে ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ক্রেতারা একত্রিত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে ঘেরাও করেন। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে ব্যবসায়ী নেতারা ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযুক্ত শামীম আল মামুনকে ঘিরে নিরাপত্তা দেন। তবে তাকে পুলিশের পিকআপভ্যানে তুলে নেওয়ার সময় কিছু উত্তেজিত লোকজন চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। খবর পেয়ে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এসডি প্লাজার মালিকের ছেলে শুভ দাশ অভিযোগ করেন, শামীম আল মামুন এক সপ্তাহ আগে তাদের দোকানে এসে কাগজপত্র পরীক্ষা করেন এবং বিভিন্ন ধারায় মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তবে সেদিন টাকা দেওয়া হয়নি। পরে সোমবার রাতে তিনি আবার এসডি প্লাজায় আসেন এবং ঘুষের টাকার জন্য চাপ দেন। এতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় শতাধিক লোক জড়ো হয়ে তাকে ঘেরাও করেন।
যদিও, কাস্টমস কর্মকর্তা শামীম আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে এসডি প্লাজায় গিয়েছিলেন, কোনো ঘুষ দাবি করেননি।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল হক মুন্সী বলেন, 'ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তা দুই পক্ষ ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।'