বৈঠকে ড. সালেহউদ্দিন সার্বিক সহযোগিতার জন্য ফিকিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসাবে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, 'বেসরকারি খাত ছাড়া দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারবে না।'
ফিকি সভাপতি ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে তার একটি বিস্তৃত রূপরেখা উপস্থাপন করেন।
তিনি ব্যাংকিং খাত এবং কর-রাজস্ব প্রশাসনের সংস্কারের পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিবেশের অনুকূলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। দক্ষতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে, ট্যাক্স-টু-জিডিপি'র অনুপাত বৃদ্ধি এবং লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বিশ্বমানের নিয়ন্ত্রক প্রযুক্তির জন্য প্রস্তাব করেছেন জাভেদ আখতার।
এছাড়া ফিকি সভাপতি বিশেষ করে ব্যাংকিং সেক্টরে শাস্তিমূলক কর্পোরেট কর মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তারা বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ থেকে অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা অর্জিত সুদ প্রদানের ওপর অতিরিক্ত আয়করের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা বাংলাদেশি ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণের খরচ আরও বাড়ায়।
পাশাপাশি গ্রাহকদের প্রত্যক্ষ কর প্রদানের জন্য উৎসে কর কর্তনের দায়ভার ব্যাংকের বহন করা উচিত নয় বলে জোর দেয় ফিকি। চেম্বার কর কর্তনের প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং, চূড়ান্ত দায়িত্ব করদাতার উপর ন্যস্ত করার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।
ড. সালেহউদ্দিন ফিকিকে তাদের উত্থাপিত সমস্যাসমূহের সমাধান করার এবং বাংলাদেশে আরও অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলতে ফিকির সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আশ্বাস দেন।