প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমদানি-রপ্তানিকারকের সুবিধায় শিগগিরই ঢাকা চেম্বার একইসাথে সকল চেম্বারে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেস্ক স্থাপন করা হবে, এখানে 'আইআরসি' এবং 'ইআরসি' সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সকল সুবিধা দেয়া হবে। এ বছরের মধ্যে 'যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি)' সেবা পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না এদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছে, মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে।'

প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, 'দেশের কোন জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এ ধরনের তথ্য প্রাপ্তির একটি প্ল্যাটফর্ম প্রণয়ন জরুরি। কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী তথ্য কাঠামো প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই। ভ্যালু চেইনসহ আমদানি, রপ্তানি উন্নয়নে সরকার 'জাতীয় লজিস্টিক পলিসি ২০২৪' করেছে যা সকল উদ্যোক্তাদের জানতে হবে।'

কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, 'দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এ খাতের তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ সমাজ সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিখাতের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেটা অনেক উৎসাহব্যঞ্জক একটি বিষয়।'

ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য করেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। সুইসকন্টাকের জ্যেষ্ঠ ম্যানেজার মোহাম্মদ সাকিব খালেদ, আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ কৃষিতে বিদ্যমান সমস্যা ও পরামর্শভিত্তিক পৃথক উপস্থাপনা করেন।

ডিসিসিআই সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি ও বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।