বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হচ্ছে কুমড়ো বড়ি

অর্থনীতি
0

একসময় কেবল স্থানীয় খাদ্যপণ্য হিসেবে কুমড়ো বড়ির ব্যবহার থাকলেও কয়েক বছর ধরে রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। শীত মৌসুমে চাহিদা বেশি। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে প্রস্তুতকারকদের। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়।

যশোরের মনিরামপুরে বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি হচ্ছে এই কুমড়ো বড়ি। উপজেলার হাকোবা, দেবিদাসপুর, বাকাশপোল, মাহমুদকাটি, গোয়ালহাটিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এ পণ্য বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। চালকুমড়া আর ঠিকরি কলাইয়ের ডাল মিশিয়ে তৈরি হয় গ্রামবাংলার জনপ্রিয় এই খাবারটি। এক সময় ঢেঁকিতে কুটে কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হলেও বাণিজ্যিকরূপ লাভ করায় বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে বানানো হয়।

বড়ি প্রস্তুতকারকরা বলেন, এটি ভিজিয়ে ভালো করে ধুয়ে মেশিনে দিতে হয়। আগে ঢেকিতে করতে হতো।

বাজারে প্রকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন কুমড়া বড়ি তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে এই দ্রব্যটির দামও। তবে খেতে ভালো হওয়ায় আছে বেশ কদর।

ভোক্তারা জানান, ডালের দাম বাড়ায় বড়ির দামও বেশি। এককেজি ৩৫০ টাকা করে কিনতে হয়। বড়িগুলো উন্নতমানের তাই মানুষ এগুলো খায়।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শীতকালীন সুস্বাদু এই খাবার উপকরণটি যাচ্ছে বিদেশেও। তৈরিতে নানা ধরণের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়ার কথা জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার। বলেন, 'এখান থেকে প্রায় কোটি টাকার বড়ি বিক্রি করে কৃষক উপকৃত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে বা মার্কেটে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা করে দিব।'

এক সময় গেরস্ত নিজেদের খাবারের জন্য এ কুমড়ো বড়ি তৈরি করতো। গেরস্তের বাড়ির আঙিনা ছেড়ে এখন তা বাণিজ্যিক পণ্যে রূপ নিয়েছে।