চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে এবং নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির আবহে। বর্ষবরণের এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রঙিন সাজে সেজে ওঠে। মুখোশ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, শিল্পকর্মে ফুটে উঠে বাঙালিয়ানার বৈচিত্র্য এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বার্তা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহীদ জিয়া হল, দক্ষিণ গেট, পূর্ব গেট, একাডেমিক ভবন হয়ে টিএসসির সামনে গিয়ে শেষ হয়। উৎসব ঘিরে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। এই দিনটি শুধু নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জাতিসত্তার পরিচায়ক। আজকের এই আয়োজন আমাদের ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রতিবাদী চেতনার প্রতিচ্ছবি। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় পতাকা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বমানবতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটি মূল্যবোধ ভিত্তিক সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনন ও মূল্যবোধকে সমৃদ্ধ করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. আমিনুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকতরীর পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় ফ্ল্যাশ মব। পরে পান্তা ইলিশ ও ভর্তা উৎসবে অংশ নেন ভাইস-চ্যান্সেলর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। যেখানে শতাধিক অংশগ্রহণকারী অংশ নেন। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. মাহফুজুর রহমান সবুজ, দ্বিতীয় স্থান পান প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান এবং তৃতীয় হন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ।
সার্বিক আয়োজনে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।