ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেয়ায় ভাঙ্গায় সংঘর্ষ, আহত ২৫

এখন জনপদে
0

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহমুল্লুকদী গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। এঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন লোক আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

শাহমুল্লুকদী গ্রামের আবু ফয়সাল মোল্লা জানান, আমাদের গ্রামের বেলায়েত মুন্সির ছেলে আরিপ মুন্সি ইয়াবা সেবন ও ইয়াবা বিক্রি করে। রমজানের মধ্যে আমার ভাই মনি মোল্লা সে আরিপ মুন্সিকে ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করতে নিষেধ করে।

তিনি আরো জানান, এঘটনার জের ধরে ঈদের দিন (সোমবার, ৩১ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমার ভাই মনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা বিক্রেতা আরিপ, রুবেল, ইমরান, বেলায়েত, শাখাওয়াতসহ আরো লোকজন মনি মোল্লাকে একা পেয়ে চাপাতি দিয়ে ২৩টি কোপ দেয়। বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার বিকেল থেকে মনি মোল্লার বাবা টুকু মোল্লা ও আরিপ মুন্সি দলের শাফি মোল্লার লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে খালের দুই পাড়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এঘটনায় টুকু মোল্লা বলেন, 'শাফি মোল্লার দলের বেলায়েত মুন্সী ডলার দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে। তার ছেলে আরিফ মুন্সি ইয়াবা বিক্রি করে। আমার ছেলে মনি মোল্লা ইয়াবা বিক্রি করতে বাধা দিলে ঈদের দিন রাতে তাকে মারধর করে।'

এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, 'ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহমুল্লুকদী গ্রামে পুর্ব শক্রতার জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।'

ইএ